মোঃ আনোয়ার হোসেন
ডিমলা, নীলফামারী প্রতিনিধি:
তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ও উজানের নেমে আসা পানির ঢলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬:৩০ টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ দিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন বসতবাড়িতে ঢুকতে শুরু করেছে তিস্তার পানি।
জানা গেছে, দুদিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলের কারণে নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আমন ধানের রোয়া ক্ষেত।
তিস্তার সতির চর এলাকার হাফিজুল ইসলাম বাইশপুকুর এলাকার রফিকুল ইসলাম ও পারভীনা আক্তার বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে আমরা আতঙ্কিত । বেশ কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
সহজভাবে চলাচল করা যাচ্ছে না।
ডিমলা উপজেলার খগাখড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য বজলার রহমান জানান, গত তিনদিন ধরে টানা বর্ষণের তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।এতে ১নং ওয়ার্ড কিসামত ছাতনাই, ২নং ওয়ার্ড দোহলপাড়ায় তিস্তার বন্যার পানি প্রবেশ করেছে । রাস্তাঘাটে পানি উঠে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখায় কর্তব্যরত ফিরোজ আহম্মেদ ও উপপ্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন জানায়, আজ ২৮সেপ্টম্বর দুপুর ২:১৭ টায় তিস্তার পানি বিপদ সীমার ১২সে: মিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খোলা রাখা হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি আরো বাড়তে পারে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা চরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলে চর এলাকার ভুক্তভোগীরা জানায়।